ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তির ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৬ এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বৃত্তিপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে সরকার। এবার ৮২ হাজার ৪শ’ ৫৯ শিক্ষার্থী এ বৃত্তি-সুবিধা পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তির ফল ঘোষণা করেন।

আগে সাধারণ কোটায় ৩৩ হাজার এবং মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) ২২ হাজার জনকে বৃত্তি দেওয়া হতো।

এবার সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫শ’ এবং ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd পাওয়া যাবে।

সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে সাত হাজার ৯শ’ ৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ-পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) করে মোট ৪৭ হাজার ৬শ’ ৭৬টি বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট এক হাজার ৮শ’ ২৪টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা/থানা থেকে আরও ৩টি (১ জন ছাত্র, ১ জন ছাত্রী ও উপজেলা মেধার ভিত্তিতে ১ জন) করে ৫০৯টি উপজেলা-থানায় মোট এক হাজার ৫শ’ ২৭টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ২শ’ ৯৭টি সাধারণ বৃত্তি থেকে প্রতিটি জেলায় আরও ৪টি (২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী) করে ৬৪ জেলায় ২শ’ ৫৬টি বৃত্তি বণ্টন করা হয়েছে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের গতবারের তুলনায় অর্থের পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে সাধারণ ক্ষেত্রে মাসিক ১৫০ টাকা দেওয়া হলেও এবার থেকে ২২৫ টাকা এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও তা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।

এসব শিক্ষার্থী ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি সুবিধা ভোগ করবে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০১৫ সাল হতে আরও ২৭ হাজার ৫শ’ বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৮শ’ জন করার সিদ্ধান্ত হয়।

ঝরে পড়া রোধ, উপস্থিতি বাড়ানো, মেধার স্বীকৃতি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে সমাপনী পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দিয়ে আসছে সরকার।

আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০১০ সাল থেকে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

গত নভেম্বরে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৭শ’ ৩৪ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫শ’ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে ২৯ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ইবতেদায়িতে পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পায় দুই লাখ ৮১ হাজার ৮শ’ ৯৮ শিক্ষার্থী, ইবতেদায়িতে ৫ হাজার ৯শ’ ৪৮ শিক্ষার্থী। তবে ইবতেদায়ির শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমআইএইচ/জিপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।