ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রযুক্তির ধাক্কায় হারাচ্ছে স্কুল আঙিনার উচ্ছ্বাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
প্রযুক্তির ধাক্কায় হারাচ্ছে স্কুল আঙিনার উচ্ছ্বাস এসএসসি’র রেজাল্ট প্রকাশের সময়েও খাঁ খাঁ খুলনা জেলা স্কুল। ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: মাত্র কয়েক বছর আগেও ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তো স্কুল প্রাঙ্গণ। ভালো ফলাফলকারীরা নিজেদের সাফল্য ভাগাভাগি করে নিতো বন্ধু, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে।  ঢোল বাজিয়ে নেচে গেয়ে বেড়াতো স্কুল মাঠ জুড়ে। কিন্তু প্রযুক্তি হাতের নাগালে এসে যাওয়ায় এখন আর কেউ আগের মতো আবেগী হয়ে ফলাফল নিতে স্কুলে ভিড় করছে না। তাইতো স্কুল আঙ্গিনা করছে খাঁ খাঁ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ২টার পর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার সময় মহানগরীর সেরা দুই স্কুল খুলনা জিলা স্কুল ও সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয় ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইড ছাড়াও শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে তাদের ফলাফল জানতে পারছে।

যে কারণে তারা আগের মতো স্কুলে আসছে না।
এসএসসি’র ফল প্রকাশেও প্রাণহীন করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়।                                          ছবি: মানজারুল ইসলাম
খুলনা জিলা স্কুলে ছেলের ফলাফল নিতে আসা রহমতুল্লাহ তুহিন বাংলানিউজকে বলেন, আগে ফলাফল ঘোষণার সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত থাকতো স্কুল আঙ্গিনা। থাকতো  বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। এখন ঘরে ঘরে মোবাইল ইন্টারনেট থাকায় ফলাফল নিতে আর স্কুলে আসতে হয় না। বাসা স্কুলের পাশে হওয়ায় আমি এসেছি।

জিলা স্কুলে ফলাফল নিতে আসা অর্ঘ্য জানান, ফলাফল বাড়ি থেকে পেয়ে জেনেছি গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছি। ফটো সেশনের জন্য স্কুলে এসেছি।
এদিকে স্কুলে শিক্ষার্থীরা না আসায় শঙ্কটে পড়েছেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। তারা শিক্ষার্থীদের ছবি নেওয়ার জন্য অনেককে ডেকে এনে কৃত্রিম উচছ্বাসের ছবি তুলছেন।       

যশোর শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২ হাজার ৫শ’ ৩টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫১ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৯৫ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৬০ হাজার ৯৭১ জন ও ছাত্রী ৬২ হাজার ২৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ছাত্র ৩ হাজার ৫২৪ জন ও ছাত্রী ২ হাজার ৯৩৬ জন।  

বাংলাদেশ সময়:  ১৫১৭ ঘণ্টা,  মে ০৪, ২০১৭
এমআরএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।