ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষক-অভিভাবকরাই দায়ী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
প্রশ্ন ফাঁসের জন্য শিক্ষক-অভিভাবকরাই দায়ী কৃতী শিক্ষর্থীদের পুরস্কার দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ- ছবি- শাকিল

ঢাকা: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও অভিভাবকরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ডিআরইউ আয়োজিত পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা-২০১৬ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতার বিশ্বে সন্তানদের টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে অনেক অভিভাবক টাকা দিয়ে প্রশ্ন কেনেন।

আর অর্থের লোভে অনেক শিক্ষক প্রশ্নপত্র বিক্রি করেন। আমরা এও দেখেছি, পরীক্ষার হলে শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে এমসিকিউ’র উত্তর বলে দিচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ পদক্ষেপও গ্রহণ করছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকাংশে বন্ধ করতে পেরেছি।  

‘এদিকে আমরা ব্যাপক নজর দিচ্ছি এ কারণে যে, গুণগত শিক্ষার মানের অভাবে একটা পরিপূর্ণ শিক্ষিত জাতি আমরা পাচ্ছি না। যে কারণে স্বাধীনতার এতো বছর পরও আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছি না। আমাদের সন্তানদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছি না’।  
একই লক্ষ্যে আমরা গৃহশিক্ষকদের প্রতি মনযোগী না হওয়ার জন্য অভিভাবকদের উৎসাহিত করছি বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।  

শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য শিক্ষার গুণগত মান অর্জন ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। নইলে বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব হবে না। সে লক্ষ্যে প্রযুক্তিবান্ধব শিক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে  শিক্ষার গুণগত মান অর্জনের চেষ্টায় আমরা বদ্ধপরিকর।  

শিক্ষা নীতিমালাকে প্রতিনিয়ত যুগপোযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সংশোধন ও পরিবর্তন আনছি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করেছি ও তাদের দেশের বাইরে থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।  

অবকাঠামো উন্নয়নও একটি জরুরি বিষয়। তাই আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে আগামী বছর সারাদেশে স্কুল, কলেজগুলোতে সাড়ে উনিশ হাজার নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ৪তলা, বিভাগীয় সদরে ৮তলা ও রাজধানীতে ১০তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া বিনামূল্যে বই বিতরণ ও নারী শিক্ষায় উন্নতির ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবছরের মতো ডিআরইউ’র সদস্যদের সন্তানদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানীসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবার পিইসিতে ২৮ জন ও জেএসসিতে ১৮ জনসহ সর্বমোট ৪৬ জন শিক্ষার্থীকে  পুরষ্কৃত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।