রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফি তিনগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, গত বছরের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ৫ হাজার ৭০০ টাকা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হজার টাকা এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানসহ অন্যান্য অনুষদগুলোতে প্রায় সাড়ে ৩ হজার থেকে ৪ হাজার টাকা ভর্তি ফি ধরা হয়।
কিন্তু এবছর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর ভর্তি ফি এক লাফে তার তিনগুণ বৃদ্ধি অর্থাৎ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা করা হয়। অন্যদিকে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত অনুষদের ভর্তি ফি দ্বিগুণ অর্থাৎ ১৩ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়াও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর ভর্তি ফি ১২ হাজার ৪১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলানায় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি হঠাৎ করে তিনগুণ বৃদ্ধি করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, ‘অহেতুক ভর্তি ফি বৃদ্ধি করায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা যোগোতে মানুষের কাছে হাত পাততে হবে। অথচ শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। ’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি অনেক কম ধরা হয়েছে। দেশের অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্য ভর্তি ফি কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অহেতুক ভর্তি ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রীর আহ্বায়ক মোরশেদ হাবিবের নেতৃত্বে যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, শামিমুল ইসলাম, আরিফ, সাগর, নজরুল, আশিক, রাজ্জাকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মানববন্ধন শেষে ভর্তি ফি না কমানো হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
আরএ