সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৩ জানুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগে জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুস শহীদ মিয়া ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
কমিটিকে আগামী পনের দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক রুহুল আমিন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নেন। পাশাপাশি চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হন ওই শিক্ষক রুহুল আমিন।
পরে গত বছরের ১২ অক্টোবর শরিফুলকে অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় (হিসাব নং ১০৭১৫) ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন রুহুল আমিন। ৩১ অক্টোবর ব্যাংকে ওই চেক নিয়ে যায় শরিফুল। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় যে- চেকটি ডিজঅনার হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।
এ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর শিক্ষক রুহুল আমিনকে আইনি নোটিশ পাঠান আদালত। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আদালতে মামলা করেন শরিফুল ইসলাম। ওইদিনই আদালত রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬ তম সিন্ডিকেট সভায় সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ বছরের প্রমোশন বাতিল, ৩ বছরের ইনক্রিমেন্ট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তাকে ৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক পদ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ