ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবির ‘বি’ ইউনিটে ভর্তিতে বিড়ম্বনা

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
ইবির ‘বি’ ইউনিটে ভর্তিতে বিড়ম্বনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বিড়ম্বনা লেগেই আছে। ‘বি’ ইউনিটে প্রশ্নপত্র সংকট, শর্ত শিথিল করে ফল প্রকাশের পর এবার ভর্তিতেও বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ‘বি’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের সাক্ষাতকার চলাকালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন বিড়ম্বনার চিত্র দেখা যায়।  

সংশ্লিষ্ট ইউনিট সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

পরে ১৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ইউনিট, রোল নম্বর এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে বিভাগ পছন্দক্রমের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্তৃপক্ষ।

পরে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের দেওয়া পছন্দক্রমের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের এসএমএস দেওয়া হয়। এসএমএস এ শিক্ষার্থীদের দেওয়া পছন্দের তালিকা থেকে একটি বিভাগ ভর্তির জন্য চূড়ান্ত করে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বিভাগ অনুযায়ী ওয়েবসাইটে ভর্তির আবেদন পূরণ করতে বলা হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের এক কপি প্রিন্ট করে সাক্ষাতকারে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

তবে শিক্ষার্থীরা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে বিভাগ নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে সাক্ষাতকারে পরিবর্তন করে অন্য বিভাগে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন ইউনিটের সদস্যরা। যার ফলে দেশর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে পারছেন না। পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে এসেও অপ্রত্যাশিত বিভাগেই ভর্তি হতে হচ্ছে তাদের।

সাক্ষাতকার দিতে আসা ইসরাত জাহান শায়লা নামে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, ‘এসএমএস আমাকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আমি অনলাইনে ইতিহাস বিভাগের আবেদন ফরম পূরণ করি। কিন্তু সাক্ষাতকারে আমাকে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ দেওয়া হয়। ’

এদিকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলে শর্ত শিথিল করা হলেও প্রকাশিত ফলে মানা হয়নি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত। জানা যায়, ‘বি’ ইউনিটে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় ইংরেজিতে ২৫ নম্বরের মধ্যে নুন্যতম ১০ পেতে হবে।  

পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে নুন্যতম জিপিএ-৩.৫০ থাকার শর্ত দেওয়া হয়। তবে প্রকাশিত ফলে অনেক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জিপিএ-২ পেয়েও ইংরেজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) ‘বি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের সাক্ষাতকারে বিষয়টি উপস্থিত ইউনিট সমন্বয়কারী সদস্যদের নজরে আসলে প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় সাক্ষাতকার বন্ধ করে দেয় ইউনিট কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ইউনিট কমিটির জরুরি সভায় যেসব শিক্ষার্থী প্রকাশিত ফলে নির্ধারিত শর্ত পূরণ ছাড়াই ইংরেজি বিভাগ পেয়েছে, সেসব শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিভাগ দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত শর্তানুযায়ী অন্য বিভাগুলোর মধ্যে থেকে ভর্তি হতে বলা হয়।

এ বিষয়ে ‘বি’ ইউনিট সমন্বয়কারীর সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে আমাদের ফলাফল তৈরিতে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। ফলাফল তৈরিতে লিখিত পরীক্ষায় একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যার ফলে অন্যান্য বিষয়গুলোতে একটু কম গুরুত্ব দেওয়ায় এ সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমরা লক্ষ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রকাশিত মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের যে বিভাগই দেওয়া হোক না কেন, সাক্ষাতকারে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এবং ইউনিটের দেওয়া সিদ্ধান্তের সমন্বয়ে বিভাগ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।