ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিআইইউ’র স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
সিআইইউ’র স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস সভা শেষে উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

ঢাকা: চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কেমন হচ্ছে নতুন ক্যাম্পাস, সেখানে কেমন হবে তারুণ্যমুখর আড্ডা কিংবা কতখানি এগিয়ে যাবে গবেষণা কার্যক্রম?

প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে এমন হাজারও প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গত রোববার (২ ডিসেম্বর) সিআইইউতে অনুষ্ঠিত হলো মতবিনিময় সভা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাস শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখানে গুণগত মানের পড়ালেখা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভালো গবেষক সৃষ্টির জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সময় এখন মানসম্মত, যুগোপযোগী, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের জ্ঞান-অর্জন করার। সিআইইউর নতুন ক্যাম্পাসের পরিবেশ ছেলে-মেয়েদের জ্ঞানের ভাণ্ডারের গভীর থেকে গভীরে নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মতামত তুলে ধরেন প্রফেসর ড. মো. রেজাউল হক খান, প্রফেসর ড. নুরুল আবসার, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ ও ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমেদ চৌধুরী।  

উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা, ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সালমা বেগম (এফসিএ), সিআইটিএস শাখার উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডমিন শাখার উপ-পরিচালক কুমার দোয়েল দে, লাইব্রেরিয়ান ড. মো. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে, নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের খবরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে সিআইইউর শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

তারা জানিয়েছেন, দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে অনেক বেশি সহায়তা করবে।

ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ ও মেধাবী ছাত্রী সাদিকা ইসলাম সাকী বলেন, খুবই ভালো লাগছে খবরটি শুনে। এখন সবাই অপেক্ষার প্রহর গুণছি। শুনেছি এম্ফি থিয়েটারটির খোলা আকাশের নিচে নির্মাণ করা হবে। একজন সংগঠক হিসেবে সেখানে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সহপাঠীদের উৎসাহ দিতে চাই।

সদা-হাসিখুশি ব্রেন্ট রিচার্ডসন বলেন, আমরা উৎসবের অপেক্ষায় আছি। উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেসঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সিআইইউর ট্রাস্টি বোর্ডের সব সদস্যদের কাছে। শিগগিরই ক্যাম্পাসটি নির্মাণ হলে তারুণ্যের মেলা বসবে সেখানে।

সিআইইউ কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এখানে থাকছে শহীদ মিনার, অডিটোরিয়াম, প্রার্থনাগার, ক্লাসরুম, পরীক্ষার হল, ছেলে-মেয়েদের কমন রুম, স্পোর্টসরুম, অত্যাধুনিক ল্যাব, মনোরুম লাইব্রেরি, গাড়ি পার্কিংসহ অনেক কিছু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।