বুধবার (১৬ জানুয়ারি) এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সেই সঙ্গে এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদী হয়ে ইবি থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমানকে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকর লিফলেট ফেলে রাখে। লিফলেটে শিক্ষক মোস্তাফিজকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। লিফলেটে লেখা রয়েছে, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ এর ছাত্রীর সাথে কুকির্তী’। পাশাপাশি লিফলেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের ছবি ও তাকে ইঙ্গিত করে ‘যোগ্য গুরুর যোগ্য শিষ্য মিঠুন মোস্তাফিজ’ লেখা রয়েছে। এ লিফলেট গত দুইদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, একাডেমিক ভবন, টিএসসিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কে পরে থাকতে দেখা যায়।
বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে এলে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটিরি অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহেদ আহমেদ এবং আইসিটি সেলের সহকারী প্রধান কম্পিউটার ইনস্ট্রাক্টর ড. নাইম মোর্শেদ।
কমিটির সদস্যদের দ্রুত উপাচার্যের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ইবি থানায় মামলা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইবি থানা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশোধনী আইন ২০১৩ এর ৫৭/২ ধারায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় তিনি এ মামলা করেন। তার মামলা নং-০৯/১৯।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
এসআই