ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

ডাকসু নির্বাচন: নজর সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচন: নজর সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তে ডাকসু ভবন/ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনে কারা প্রার্থী হতে পারবেন সে আলোচনা ক্যাম্পাসের সর্বত্র। ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে প্রতিমুহূর্তে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

ডাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন, প্রাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে কয়েক দফায় মতবিনিময় সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আচরণবিধি, তফসিল, গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আর এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট, যার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি)।  

সঙ্গতকারণেই সংশ্লিষ্ট সবাই নজর রাখছেন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের দিকে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি–দাওয়া, গঠনতন্ত্র সংশোধনী ও আচরণবিধি- সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সিন্ডিকেট সভায়।
 
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৈঠক শুরু হবে। যেখানে কার্যতালিকায় ডাকসু নির্বাচনের বিষয়গুলো অগ্রভাগে রাখা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদ ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে উপাচার্যের কাছে জমা দেয়। নির্বাচনে কারা অংশ নেবে, নিয়মিত শিক্ষার্থীরা কারা, কত সেশন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হতে পারবে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা, এমফিল, পিএইচডির শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে কিনা- সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এসব বিষয় এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
 
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খসড়া নির্বাচনী আচরণবিধি ছাত্র সংগঠনের কাছে দিয়ে সুপারিশ নিয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন তাদের মতামত তুলে ধরেছে। ছাত্র ইউনিয়ন প্রচারণার সময় ডাকসুর সাবেক নেতাদের প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের সু্যোগ, সভা করার অনুমতি ৪৮ ঘণ্টা আগে নেওয়ার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা, প্যানেল পরিচিতি সভা প্রশাসনের উদ্যোগে করা, ক্লাসের আগে বা পরে ক্লাস ক্যাম্পেইনের সু্যোগ, ভোটকেন্দ্রগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কথা বলেছে। ছাত্র ফেডারেশন ব্যক্তির খ্যাতির মানদণ্ড সুনির্দিষ্ট, সভা-সমাবেশ, পোস্টার, নির্বাচনী ক্যাম্প বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছে।
 
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গঠনতন্ত্র সংশোধন ও নির্বাচনী আচরণবিধি জন্য সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে কি সিদ্ধান্ত হয় সেটার দিকে নজর রাখছি।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ডাকসু নিয়ে গঠিত কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী সভায় সেটি অনুমোদন লাভ করবে। এরপরেই নির্বাচনের অন্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।