ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হাতীবান্ধায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের এডি অবরুদ্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
হাতীবান্ধায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের এডি অবরুদ্ধ সাইদুর রহমান ও বাদশা আলমকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ছবি-বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: ঘুষ নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক (এডি) সাইদুর রহমান ও বাস্তবায়নকারী বেসরকারি সংস্থা আরশী নগরের পরিচালক বাদশা আলমকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে প্রকল্প কার্যালয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তদন্তের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দুপুরে মুক্তি পান তারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর অধীনে হাতীবান্ধা উপজেলায় মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় ৩০০টি কেন্দ্র চালু করা হয়। যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় এনজিও আরশী নগর। প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠদানের জন্য একজন করে শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার নামে আরশী নগরের পরিচালক বাদশা আলম ১৩৫ জন আবেদনকারীর কাছ থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ নিলেও তাদের চাকরি দেননি তিনি।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার হাতীবান্ধা উপজেলা মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান ও আরশী নগরের পরিচালক বাদশা আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে সাইদুর রহমান তদন্ত সাপেক্ষে টাকা ফেরত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে দেন।

অভিযোগকারী দীলিপ কুমার বর্মন, বাবলু হোসেন ও ব্রজেন্দ্র রায় জানান, আরশী নগরের পরিচালক বাদশা আলম চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের ১৩৫ জনের কাছ থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু চাকরি দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। এর প্রতিকার চেয়ে সহকারী প্রকল্প পরিচালককে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।

মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ পেয়েছি। আরশী নগরের পরিচালক বাদশা আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।