ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

বরিশালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
বরিশালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন

বরিশাল: ২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) থেকে দেশব্যাপী একযোগে ‍শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৪২৮টি স্কুল থেকে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮১৯ জন।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য জানিয়েছেন।  

বোর্ডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এবার ১ লাখ ৭ হাজার ৫৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪১ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ৫৪ হাজার ৫৩৪ জন।

সে হিসেবে বরাবরের মতো এবার ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এবারের এসএসসি পরীক্ষার জন্য বিভাগের ৬ জেলায় নতুন পুরনো মিলে মোট ১৭৬টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে কেন্দ্র সচিবদের দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ৬১২ জন। এছাড়া নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮১৯ এবং জিপিএ উন্নয়নে পরীক্ষা দিচ্ছে আরো ১৪৪ জন পরীক্ষার্থী।

জেলা অনুযায়ী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৩৬ হাজার ২১০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ১০৭ ও ছাত্রী ১৯ হাজার ১০৩ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ৬২টি। ঝালকাঠি জেলায় ১০ হাজার ৯৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৯৯১ ও ছাত্রী ৫ হাজার ৯৪৫ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ১৭টি।

পিরোজপুর জেলায় ১৩ হাজার ২০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৬৩ জন ও ছাত্রী ৭ হাজার ১৪২ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ২৩টি। পটুয়াখালী জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ১৭১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৬৯১ জন ও ছাত্রী ৯ হাজার ৪৮০ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ৩০টি।

বরগুনা জেলায় মোট ১১ হাজার ২৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৭৫৫ জন ও ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৫১৮ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ২১টি। এছাড়া ভোলা জেলায় মোট ১৫ হাজার ৭৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৮ হাজার ৪৩৪ জন ও ছাত্রী ৭ হাজার ৩৪৬ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ২৩টি।

বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে সচিবদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নকলরোধে গঠন করা হয়েছে একাধিক ভিজিলেন্স টিম।

তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবারই প্রথম ফয়েল খামে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে। কোন কারণে ওই খাম খোলা হলে সেটা আর আটকানোর সুযোগ থাকবে না। ফয়েল খামে থাকা প্রশ্নপত্র সটিং করে তারিখ অনুযায়ী ভাগ করা হবে। এরপর আবার সিকিউরিটি খামে তা ঢোকানো হবে। তাই এবারের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো গুজবে কাউকে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।