ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার খোলার অনুমতি না দেবার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার খোলার অনুমতি না দেবার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার খোলার অনুমতি না দেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষায় অবদান শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সংগঠনের নেতারা এ অনুরোধ জানান।



আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ইন্ট্যারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগরিকালচার অ্যান্ড টেকনোলোজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আলীমুল্লাহ মিয়া।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি সরকার বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া শীক্ষার্থীদের প্রতারিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ’

উচ্চ শিক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সমান সুযোগ তৈরি করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারি অনুদান বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।

আলীমুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘দেশে প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। সময়ের প্রয়োজনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু সরকার এখনো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সমান দৃষ্টিতে দেখে না। ’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশন এবং সরকারের নিকট অনুরোধ করেন তিনি।

ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আহমেদ ছফি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সদস্যরা এখনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সর্ম্পকে ভালোভাবে জানে না। বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, দেখতে হবে। ’

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, বিদেশী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজেরাই এখানে শাখা দিয়ে বসে তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তারা পারস্পরিক সহযোগিতা করবে না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শফি সামির সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তৃতা করেন, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নুরুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম হয়দার, অধ্যাপক ড. এম এ বাকের, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।