বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ফের অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে পূর্বঘোষিত প্রতিবাদী কনসার্ট করবেন তারা।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মঞ্চের সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সভা-সমাবেশ, মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আমরা জমা হয়েছি। এই নিষেধাজ্ঞা দেখেই বোঝা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনকারীদের কতটা ভয় পায়! আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গান, কবিতাপাঠের মতো কর্মসূচি পালন করবো।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতিবাদী কনসার্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) সভা-সমাবেশ, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদী কনসার্টের ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। এখন কেউ যদি পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে, তবে তা শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ হবে।
পরিস্থিতির অবনতি হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর।
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল বের করেন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
একে