বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর আবু সাইদ নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজে তার ফলাফল শিটের স্ক্রিনশর্টসহ একটি পোস্ট দেয়।
পোস্টে প্রদানকরা ওই শিক্ষার্থীর রেজাল্ট শিটের প্রাপ্ত নম্বর ৮৩.৫। যেখানে এমসিকিউ এ ৪৫.৫ এবং লিখিত ০ (শূন্য)। লিখিততে শূন্য পাওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে মেধাতালিকায় রাখা হয়নি। যার ফলে ওই শিক্ষার্থী থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় চলে আসে।
ওই শিক্ষার্থীর দাবি তার লিখিত পরীক্ষা ভালো হয়েছে। লিখিত ২০ কমপক্ষে সে ১০ পাবে। জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ আমলে নিয়ে পুনরায় উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্তৃপক্ষ। উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নে ওই শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় ১০ পেয়ে মেধাতালিকায় ৮ম হয়।
আরো জানা যায়, পুনর্মূল্যায়নে অকৃতকার্য হওয়া আরো দুই শির্ক্ষার্থী মেধাতালিকায় স্থান পায়। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে তিন শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী তাদের মেধা তালিকায় রাখা হয়। পাশাপাশি মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের নতুন করে তালিকা প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
একইসঙ্গে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে নতুনভাবে মেধাতালিকায় স্থান প্রাপ্তদের জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা টেকনিক্যাল উপ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউনিট কর্তৃক উত্তরপত্র নিরীক্ষণে কিছু ভুল থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. লোকমান হোসেন বলেন, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ফলাফলে একটু ত্রুটি হয়েছিলো। বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘন্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ