বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট দিয়ে নাহিদ তার ভাইয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ তাকে থামিয়ে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। নাহিদ শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন ও গাড়ির সামনে বিশ্ববিদালয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যানবাহনের স্টিকার দেখান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নাহিদের বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। তিনি শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র দেখালে পুলিশ সেটি ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখালে সেখানে তার বড় ভাইয়ের নাম থাকায় মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা তাকে আটকের নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে এক পুলিশ কনস্টেবল নাহিদকে বেধড়ক মারধর করেন ও টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে বিশ্ববিদালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী বিনোদপুর গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা সেখানে দায়িত্বরত অন্য পুলিশদের আটক করে রাখেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাহিদকে থানা থেকে আবার ক্যাম্পাসে ফেরত নিয়ে আসা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসার চেষ্টা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরে পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা শিক্ষার্থীদের কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলে ও মারধরে জড়িত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।
জানতে চাইলে মতিহার থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। মারধরকারী পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ আমাকে ঘটনাটি অনেক পরে জানিয়েছে। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। তবে, ঘটনাটি শুনার পরই আমি সেখানে দুইজন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এএটি