আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর ভর্তির হতে দশ হাজার টাকা যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তার পরিবার। এছাড়া থাকা-খাওয়াসহ পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মত সামর্থ্য নেই তাদের।
তার বাবা হেমন্ত কুমার রায় রিকশাচালক। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এক ভাই ও এক বোনের মনিন্দ্র ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। জায়গা-জমি বলতে শুধু বাড়ির পাঁচ শতক ভিটেমাটি। মা-বাবার সামান্য আয় আর মনিন্দ্রের টিউশন ফি দিয়েই চলতো পরিবারের ভরণ-পোষণসহ তার পড়াশোনা।
দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া ছেলেটি এবার (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) বেরোবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের প্রথম শিফটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার মেধাক্রম ৩৩। ভর্তির শেষ সময় আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর। ভর্তির জন্য এখন তার প্রয়োজন ১১ হাজার টাকা। কিন্তু মনিন্দ্রের পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।
মনিন্দ্র দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করছেন। তিনি গ্রামের মসরদৈলজোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞানে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তার পড়াশোনার আগ্রহ দেখে শিক্ষকরা জামা-কাপড় কিনে দিতেন।
মনিন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, দরিদ্র মা-বাবার পক্ষে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সামর্থ্য নেই। পড়াশোনার খরচ চালানো পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই উচ্চ শিক্ষার যে স্বপ্ন দেখতাম তা অর্থের অভাবে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
মনিন্দ্রের বাবা হেমন্ত কুমার রায় বলেন, ‘নিজে না খেয়ে বেটারে স্কুল কলেজ পড়াইছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাইছে। কিন্তু হাতে কোনো ট্যাকা-পয়সা নেই। এজন্য মুই চিন্তা করি কুল পাচ্ছি না, কি করবো এলা। তোমরা আমাদের সাহায্য কবো। যাতে মোর বেটা পড়ালেখা চালাই যেতে পারে। ’
মহিন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে-০১৭৭৪০৮৭২৯৪ (বিকাশ খোলা আছে)।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
ওএইচ/