শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একাদশ সমাবর্তনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। আমরা একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। একটি সমন্বিত শিক্ষানীতি প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কারিকুলামকে যুগোপযোগী করার কাজ চলমান রয়েছে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা, দক্ষতা অর্জন করা ও আত্মবিশ্বাসী হওয়া। যে শিক্ষা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করতে পারে না সমস্যা সংকট মোকাবেলায় দক্ষতা দান করে না, চিন্তা করতে শেখায় না ভাবতে হবে সেখানে শিক্ষার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। গ্রাজুয়েটদের বর্তমানে কর্মবাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী। আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এনটি