সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী মো. আকবর আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক্সের স্বত্বাধিকারী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক্সের ফটোগ্রাফি ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি সাময়িক বন্ধ রয়েছে। শুধু ক্যাম্পাসে বসবাসকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালযের জরুরি প্রয়োজনে কিছু কার্যক্রম চালু রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক ও উপ-রেজিস্ট্রার নাহার বেগমের ব্যক্তিগত ছবির কারণে গত রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে দোকানটি খোলা হয়। এসময় সেখানে নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন উপস্থিত হলে তাকে জরুরি প্রয়োজনের কথা ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু তিনি কথা না শুনে মো. আকবর আলীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোকে লাঠিপেটা করতে না পারায় আমার হাত নিশপিশ করছে, পরে তোকে ক্যাম্পাসে যেখানে পাবো সেখানে পুতে ফেলবো। ’ ঘটনার সময় উপস্থিত ১৯তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী ও সাভার কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সুদীপ্তকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাকেও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অভিযোগপত্রে আকবর আলী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী খাবার সংশ্লিষ্ট যেসব দোকান বন্ধ থাকার কথা তা এর মধ্যে পড়ে না। তাছাড়া প্রশাসন থেকে দোকান বন্ধের কোনো নোটিশও আমার হাতে আসেনি। এ অবস্থায় আমি আমার ব্যবসা পরিচালনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীনের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন। তিনি বলেন, রোববার বিকেলে ডেইরি গেটে আমরা টহলে যাই। সেখানে কনফেকশনারির দোকান খোলা দেখে সেখানে যাই। প্রশাসনের নির্দেশনা থাকার পরেও দোকান খোলার কারণ জানতে চাই দোকানদারের কাছে। এসময় পাশে থাকা এক ব্যক্তি দোকানদারের সঙ্গে আমাকে উচ্চস্বরে কথা বলতে নিষেধ করেন। পরে আমি সেই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাই। সে নিজেকে সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে আমরা চলে আসি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
একে