বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাজানো হচ্ছে অপরূপ সাজে। ফুলের সমাহারে শোভা পাচ্ছে প্রবেশদ্বার থেকে মূল অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন খুবির চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানের আগে দুপুর ২টা ৫ মিনিটে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের অদূরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘কালজয়ী মুজিব’ উদ্বোধন করবেন। সমাবর্তন মূল অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সমাবর্তন-শোভাযাত্রাসহ চ্যান্সেলরের অনুষ্ঠানস্থলে আগমন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা, দুপুর ২টা ৪১ মিনিটে ট্রেজারারের স্বাগত বক্তব্য, দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটে চ্যান্সেলরের ডিগ্রি ও স্বর্ণপদক প্রদান, দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলরের বক্তব্য, দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহের বক্তব্য, বিকেল ৩টা ২ মিনিটে সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ড. অনুপম সেনের বক্তব্য, বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে বিশেষ অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্য, বিকেল ৩টা ১৪ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের ভাষণ, বিকেল ৩টা ২৭ মিনিটে ক্রেস্ট বিতরণ, বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা, বিকেল ৩টা ২৯ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত এবং বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রস্থান।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের কয়েকজন সদস্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্যরা, সচিবরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, সামরিক ও বেসামরিক, বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ের প্রশাসন, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থার কর্মকর্তারা, নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানা হয়েছে।
এবার ষষ্ঠ সমাবর্তনে চার হাজার চারশ ৭৮ জনকে স্নাতক, দুই হাজার পাঁচশ ৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, পাঁচজনকে এমফিল ও আটজনকে পিএইচ ডি এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন ডিগ্রি দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য এবার ২৩ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে।
গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন: বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যা স্কুলের- রসায়ন ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রুম্পা কুণ্ডু, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মো. রাহাত আলী, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সুবর্ণা কুণ্ডু, গণিত ডিসিপ্লিনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তন্ময় বৈরাগী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের নাজমুস সাকিফ।
জীববিজ্ঞান স্কুলের- এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ঈশিতা মণ্ডল, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জিনাত সুলতানা ও একই ডিসিপ্লিনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারহান তানভীর, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাইশা মালিহা মেধা।
সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের- অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শেখ ফাইজান বিন হালিম, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের তহমিনা ইসলাম, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রোজিনা আক্তার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাবরিনা আক্তার, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মুক্তা আক্তার।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের- ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ইমতিয়াজ মাশরুর, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ফারিহা আজাদ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শাহানাজ আক্তার, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তমালিকা বালা।
চারুকলা স্কুলের - ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শাপলা সিংহ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের হিমা আক্তার হিরামণি, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রূপক কুমার সাহা, প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আসমা চৌধুরী।
১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হওয়ার পর খুবির আগে ৫টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালের ১০ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় সমাবর্তন ২০০৭ সালের ১৯ মাচ, ৪র্থ সমাবর্তন ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর এবং ৫ম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এএটি