ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আগামী বছর থেকে মাধ্যমিকে কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২০
আগামী বছর থেকে মাধ্যমিকে কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হবে

মাদারীপুর: আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বীরমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এ বছর ৬৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি বিষয়টি শুরু হয়েছে।

আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা বা সাধারণ শিক্ষার ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা পাবে সব শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরও বলেন, ‘নবম ও দশম শ্রেণিতে দুটি কারিগরি বিষয় পড়ানো হবে। এর মধ্যে অন্তত একটি বিষয় বাধ্যতামূলক পড়তে হবে। ফলে আত্মকর্মসংস্থান করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আমরা সেই ব্যবস্থাই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা পৌঁছে গেছে। পহেলা এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের অনৈতিক সহযোগিতা সহ্য করা হবে না।

দিপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয় একা কাজ করেনি। এজন্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবেকরা সম্বিলিতভাবে চেষ্টা করেছেন। আগামীতে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানেও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্যে অভিভাবকদেরও শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে পড়াশুনায় সহযোগিতা করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষাকে বিশ্বমানের করতে হবে। আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। আগের যে তিনটি শিল্প বিপ্লব হয়েছে তা থেকে আমার পিছিয়েছিলাম। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যেটা অটোমেশিনে, রোবোটিক্সে সেদিক থেকে আমরা পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ থেকে এগিয়ে আছি। আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও প্রযুক্তিবান্ধব। তারা সহজেই প্রযুক্তি গ্রহণ করে ও ব্যবহার করতে পারে।  

প্রযুক্তির প্রতি আমাদের এই যে আগ্রহ তাই আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সফল হতে সহযোগিতা করছে। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যদি আমাদের সফল হতে চাই তাহলে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে হবে শিক্ষায়।

বিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বকুল হোসেন।  

শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন, কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও সাবেক চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীন।  

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মনিরউজ্জামান চৌধুরী সোহাগ, প্রধান শিক্ষক মো. সালাহ্ উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।