ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনলাইন-দূরশিক্ষণে শিক্ষাদানে অভ্যস্ত হতে হবে: মাউশি ডিজি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
অনলাইন-দূরশিক্ষণে শিক্ষাদানে অভ্যস্ত হতে হবে: মাউশি ডিজি

ঢাকা: করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন ও দূরশিক্ষণে লেখাপড়ার বিষয়টি সাময়িক নয় জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেছেন, শিক্ষকদের এই দুই মাধ্যমে শিক্ষাদানে অভ্যস্ত হতে হবে।
 
‘করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া; শিক্ষকদের করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।


 
মাউশি মহাপরিচালক বলেন, অনেকে মনে করেন, অনলাইন ও দূরশিক্ষণে লেখাপড়া পরিচালনার ব্যাপারটি সাময়িক। করোনা চলে গেলে আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন তারা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে বলেছে যে, দু’বছরও এই পরিস্থিতি থাকতে পারে। তাই শিক্ষকদের দূরশিক্ষণ আর অনলাইনে অভ্যস্ত হতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আর কীভাবে সেবা দেওয়া যায় সেটি উদ্ভাবন করতে হবে।
 
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ। সম্মানিত অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক, অধ্যাপক আবদুস সালাম, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফৌজিয়া, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক কেএম এনামুল হক এবং এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসেসিয়েশনের (ইরাব) সভাপতি মুসতাক আহমদ। সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসীন হাওলাদার রেজা।
 
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের শাখা প্রধান মো. মোহসিন তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম।
 
ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এটা টিকিয়ে রাখা এই সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে টেলিভিশন ও অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। কিন্তু মোট শিক্ষার্থীর অর্ধেক বর্তমানে টেলিভিশনে আর ১৭ শতাংশ অনলাইন মাধ্যমে লেখাপড়ায় যুক্ত হচ্ছে। দারিদ্র্য, ইন্টারনেটের গতিশীলতা ও বিদ্যুৎসহ অন্য ব্যবস্থার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়পক্ষকে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকরা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। তারা শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে হোমওয়ার্ক দিয়ে পরে তা ফের গ্রহণ করতে পারেন।
 
অনুষ্ঠানে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষকেরা যুক্ত হন। তারা বলেন, অনলাইন শিক্ষায় নানা প্রতিবন্ধকতার অন্যতম ইন্টারনেটের দাম। এটা কমানো খুবই জরুরি। এছাড়া এই শিক্ষা চালিয়ে নিতে অল্প অর্থে ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইলসহ উপকরণের ব্যবস্থা করা দরকার। নইলে দরিদ্ররা লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়বে।
 
তারা আরও বলেন, অনলাইন ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা সেভাবে যুক্ত হচ্ছে না। ইন্টারনেটের গতির সমস্যা আছে। এই অজুহাতে তারা যুক্ত হতে সেভাবে চেষ্টা করে না। আর ভবিষ্যতেও যেহেতু এ শিক্ষা চালিয়ে নিতে হবে, তাই এ ব্যাপারে শিক্ষকদের ট্রেনিং দরকার। ট্রেনিংয়ের অভাবে বর্তমানে এই মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম সেভাবে চালিয়ে নিতে পারছেন না শিক্ষকরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।