ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘টিউশন ফির কারণে যেন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
‘টিউশন ফির কারণে যেন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়’ ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাকালে টিউশন ফি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক, উভয় পক্ষকেই ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কোনো জায়গায় টিউশন ফির কারণে যেন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়। এর ব্যত্যয় ঘটলে আমাদের জানালে সমাধান করে দেবো।


 
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনলাইনে জুম মিটিংয়ে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
 
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এতে যুক্ত আছেন।
 
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কঠোরতা নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকেরা। সবার জন্য একটি অংশ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেন আলোচকরা।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনাকালে সবাই কিন্তু এক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবার আয়ের ধরনও এক রকম নয়। সবার জন্য এক রকম করে দিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর চলার মতো হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোর চলার খরচ যেমন শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ইত্যাদি রয়েছে। সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা অপরিবর্তিত আছে।
 
‘কেস বাই কেস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে জানেন তাদের কোন অভিভাবক কী করেন বা কী চাকরি করেন। দু’একটি প্রতিষ্ঠান হয়তো অনড় অবস্থানে আছে। তবে অধিকাংশ স্কুল বিবেচনা করেছে। ’
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উভয় পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কোনো জায়গায় টিউশন ফির কারণে যেন শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়। খুব ব্যত্যয় ঘটলে আমাদের জানালে সমাধান করব।

প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখার ব্যবস্থা এবং অভিভাবকদের বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে চলতে হবে, মত শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।