ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ভারতে পড়তে যাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
ভারতে পড়তে যাওয়ার আগে যা জানা প্রয়োজন

উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ দেখা যায়। অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে  উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।  

প্রতি বছর একটি বড় সংখ্যার শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপসহ স্বল্প খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ।  

শিক্ষা 
আর্যভট্ট থেকে শুরু করে রামানুজন এবং জগদীশ চন্দ্র বসু থেকে শুরু করে অমর্ত্য সেন সবার জন্ম ভারতে। তারা বিশ্ব দরবারে জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করেছেন। এখনও পৃথিবীর বেশিরভাগ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, ডাক্তার এবং অন্য  সৃজনশীল সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিরা মূলত ভারতীয়।  

বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি শীর্ষ সংস্থার প্রধান নির্বাহী ভারতীয়। মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে সত্য নাদেলা ও গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই দুজনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আপনাকে সমবয়সীদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
 
বাংলাদেশ থেকে ভারতে পড়াশোনা
ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। ভারত তার শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলার মতো শিক্ষার প্রতিটি বড় ক্ষেত্র বিশ্বমানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক ছাত্র এখানে শতভাগ বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। এমনকি বৃত্তি ছাড়া জীবনযাত্রার খরচ এবং পড়াশোনা অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম।
 
শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় 
ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব রাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খুব শিগগির তারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে। ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে উচ্চমান নিশ্চিত করেছে। ভারতে ৩৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৭ হাজার ০০০ গ্র্যাজুয়েশন পর্যায়ের কলেজ রয়েছে,  যা বিশ্বমানের স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
 
কোর্সসমূহ
ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা শুধু আকারে বিশাল নয়, একাডেমিক কোর্সসমূহের দিক থেকেও বিস্তৃত। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি, শিক্ষার্থীরা আয়ুর্বেদ, সংস্কৃত এবং হিন্দি বিষয়েও পড়াশোনা করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের কোর্স অফার করে থাকে।
 
স্কলারশিপ 
ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ পাওয়ার পর তারা ভারতে বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারেন। সাধারণত শিক্ষার্থীরা দুই ধরনের স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সুযোগ পান।  

স্কলারশিপগুলো হলো আইসিসিআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস) স্কলারশিপ এবং ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ। আইসিসিআর স্কলারশিপ বিশেষভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তারা পিএইচডির জন্যও আবেদন করতে পারেন।
 
উচ্চশিক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা 
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে ভারতে আসছে। এইচএসসি অথবা এ লেভেল উত্তীর্ণ যেকোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারেন। স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। যারা ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েট তারাও আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থী পিএইচডি করতে চান, তারাও আবেদন করতে পারেন।
 
পড়াশোনার খরচ
ভারতে শিক্ষার খরচ অন্য দেশের তুলনায় বেশ সস্তা। এ দেশে জীবনযাপন এবং অন্য জিনিসের খরচ কম। যে কেউ সহজেই কম খরচে ভারতে ভালো জীবন যাপন করতে পারে। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার খরচ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় তিনগুণ কম। যেসব শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা অর্জন করে না এবং আর্থিক সমস্যার কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। তারা ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আবেদন করতে পারে এবং বাংলাদেশের চেয়ে কম খরচে সেখানে পড়াশোনা করতে পারে। তাছাড়া তারা ভারতীয় সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় এর বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে। যদি তারা বৃত্তি পায় তবে তারা ভারতে বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন
১. আইআইটিএম ২. এডামাস বিশ্ববিদ্যালয় ৩. চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ৪. ডিআইটি বিশ্ববিদ্যালয় ৫. ডিকেটিই টেক্সটাইল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ৬. জৈন বিশ্ববিদ্যালয় ৭. মানব রচনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৮.  রাজারামবাবু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং ৯. আসাম ডাউন টাউন।

আরও বিস্তারিত ফেইথ ওভারসিজ লিমিটেড (www.faithoverseasbd.com) এর পেজে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।