ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে এই সেল ভোট পর্যবেক্ষণ করবে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছেন।
স্মার্টকার্ড প্রকল্প-২ এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে এই সেল গঠন করা হয়েছে। সেলের অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয়, এমন একজন কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়াটার্সের পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, বিজিবি/ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)/ আনসার ও ভিডিপির উপ-পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয়, এমন একজন কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয়, এমন একজন কর্মকর্তা।
মনিটরিং সেলের কার্যপরিধি:
(ক) নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগতকরণ; (খ) সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইন-শৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ;
(গ) ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন; (ঘ) ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান। (ঙ) সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিতকরণ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, সেল যেন কার্যকর হয় এবং কমিশনকে যেন সময়ে সময়ে পরিস্থিতি অবহিত করা হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার সদয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা রয়েছে ২৭০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে নয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভোটের মাঠে।
মেয়র পদে নয় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস- এর আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, যা চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
ইইউডি/এএটি