ঢাকা: জাতীয় সংসদের শূন্য পাঁচ আসনের উপনির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারণ করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোই বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে—রিটার্নিং অফিসারকে নির্বাচনী এলাকার জন্য ভোটকেন্দ্রের স্থান এবং ভোটাররা যে যে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন সেই সব স্থানের নাম উল্লেখ করে ভোটকেন্দ্রের ০৩ (তিন) গ্রন্থ তালিকা (সফট কপিসহ) ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষ দ্রুত মারফত নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হবে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সকল ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল রসিক নির্বাচনেও ওই সকল ভোটকেন্দ্র বহাল রাখতে হবে।
তবে কোনো ভোটকেন্দ্র কোনো প্রার্থীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবাধীন হলে তা কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এছাড়াও উল্লিখিত নির্বাচনী এলাকার অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নাম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। উল্লিখিত অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রসমূহে অভিজ্ঞ প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, উপ-নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৫ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৫ জানুয়ারি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
বিএনপির ছয় সংসদ সদস্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরবর্তীতে পাঁচ শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। একটি সংরক্ষিত মহিলা আসন বিধান সেটিতে পরবর্তীতে নির্বাচন দেবে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ