ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সম্পত্তি দখলের অভিযোগ সুপ্রিম পার্টির বিরুদ্ধে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
সম্পত্তি দখলের অভিযোগ সুপ্রিম পার্টির বিরুদ্ধে

ঢাকা: অপরের সম্পত্তি দখল করায় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।



পরে ভুক্তভোগী শাহজাদা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী সাংবাদিকদের বলেন, বিএসপি যে দলটা নিবন্ধনের জন্য দরখাস্ত করেছে সেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে দেওয়ার জন্য। আমাদের অভিযোগ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং অন্যান্য জায়গায় যে কার্যালয়গুলো দেখিয়েছে এগুলো আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। এখানে আমরা আমাদের পরিবার, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করি।

আসলে হীন উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের পারিবারিক সম্পত্তিগুলো নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান, উনি (বিএসপি প্রধান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী) বিভিন্ন মামলাগুলো দীর্ঘসূত্র করে আমাদের সম্পত্তিগুলো, আমরা দুই ভাই দুই বোন, কিন্তু বড় হিসেবে উনি আমার এবং ছোট দুই বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার কু মাসনে উনি নির্বাচনী কার্যালয় আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ওপর বসিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি। এর কাছে পরিবার-পরিজন, নিজের ছোট ভাই-বোনরা নিরাপদ নয়, তার কাছে দেশবাসী কি করে নিরাপদ থাকবে। এজন্য আকুল আবেদন বিএসপি নামের ভুঁইফোড় সংগঠনের নিবন্ধন যেন না দেওয়া হয় এবং পারিবাররিক সম্পত্তি ভূমিদস্যু, যে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলে, আমাদের প্রতিনিয়ত ভয় দেখিয়ে চলছে। চকরিয়া ও ঢাকার বাড়িতেও মাস্তান বাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়ে চালায়। আমাদের পরিবার, আমার স্ত্রী-সন্তান ওপর সন্ত্রাসী মহড়া দিয়ে চলে।

সহিদ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, একজন সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, প্রতারক, জালিম এবং এই ঠকবাজ লোক কিভাবে জাতীয় নির্বাচন করে, এর কাছে নিজের পরিবার-পরিজন নিরাপদ নয়। যিনি আমার বাবা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারী থেকে সমুদয় সম্পত্তি উনি জুলুম করে, প্রতারণার মাধ্যমে, হেবা দলিলের মাধ্যমে উনি সৃজন করে। আমার বাবার সমুদয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আমাদের পৈত্রিক ও মাত্রিক সম্পত্তির কোনো হিস্যা না দিয়ে একদস জুলুমভাবে অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন করে যাচ্ছে। একজন সন্ত্রাসী, ঠকবাজ, জুলুমবাজ কী করে একটা পার্টির নেতৃত্ব দিতে পারে। এতে আমাদের পরিবার নিরাত্তাহীনতায় ভুগবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনার তো কোনো রাজনৈতিক কার্মকাণ্ডই নেই। উনার কর্মকাণ্ড হলো কীভাবে ভাই-বোনদের ঠকাবে, এই নিয়তে উনি ওই দল করতে হবে।

বিএসপি কতদিন ধরে পরিচিত, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি দেখে এবং টিভিতে প্রেস ব্রিফিং দেখে জানতে পেরেছি। বাংলাদেশের সব জায়গায় আমাদের খনকা শরিফ আছে। সেগুলোই তিনি কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছেন।

কীভাবে ছয়টা গানম্যান নিয়ে চলতে পারে সেটাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখার জন্য আবেদন জানান তিনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ওই ভুক্তভোগী বলেন, নিবন্ধনের নাম করে পারিবারিক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা চলছে। উনি যদি আমাদের এলাকায় মেম্বার নির্বাচন করতে চায় করবে। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা তার নেই।

লিখিত বক্তব্য সহিদ উদ্দিনের দুই বোন সৈয়দা সায়েমা আহমদ ও সৈয়দা সাহেদা আহমদও সই করেন।

ইসি বাছাই কার্যক্রমে উত্তীর্ণ হওয়ায় অন্য একটি দলের সঙ্গে বিএসপিকেও তালিকায় স্থান পেয়েছে। এক্ষেত্রে কারো অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।