ঢাকা: দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে বিএনপিসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য, সংস্কারের কারণে দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চলতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার নিয়ে যত বেশি সময় যাবে... সমস্যাগুলো তত বাড়বে।
এমন আবহে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনকে প্রশ্ন করেন, রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে-এটা কী সম্ভব?
জবাবে সিইসি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তো ঘোষণা দিয়েছেনই যে মিনিমাম সংস্কার করা হলে-এ বছরের শেষের দিকে আর সংস্কার যদি সত্যিকার অর্থ করতে হয় তাহলে পরের বছরের জুন মাস এসে (নির্বাচন) যাবে। আমরা উনার বক্তব্যের আলোকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি যেটা যখনই হোক না কেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন।
এদিন বৈঠকে সংস্কার নিয়ে আলোচনা করে দুই কমিশন।
একই প্রশ্নের বিপরীতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে দেওয়ার চেষ্টা করব, তা নাহলে জানুয়ারির তিন তারিখের মধ্যে দিয়ে দেব।
সাক্ষাতের বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে উনাদের কোনো প্রস্তাব আছে কি-না জানতে চেয়েছি।
কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কি - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন তো স্টেকহোল্ডার। উনাদের কাছে জানতে হবে তো। উনাদের কোনো সুপারিশ আছে কি-না সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন>>সীমানা নির্ধারণে সংস্কার চাইলেন সিইসি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
ইইউডি/এসএএইচ