ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ রজব ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

অনলাইনে নিজের তথ্য নিজেকে পূরণ করে ভোটার হওয়ার আহ্বান ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
অনলাইনে নিজের তথ্য নিজেকে পূরণ করে ভোটার হওয়ার আহ্বান ইসির

ঢাকা: বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজেকেই পূরণ করে ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

তিনি বলেন, সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৮ বা তার আগে এবং কোনো কারণে বাদ পড়েছেন তারা নির্ভুল তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে অনলাইনে (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) আবেদন করতে পারবেন। এরপর সেই আবেদনের ডাউনলোডকৃত কপি তথ্যসংগ্রহকারীকে দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ইতিমধ্যে বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে। পুরো কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার লোকবল। তারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।

এদিকে ২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে:

ক) ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
খ) জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
গ) নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)
ঘ) এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ঙ) ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)

ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
ক) নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সাথে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে
খ) জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে
গ) স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে
ঘ) কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই সনাক্ত করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।