ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিসিসি নির্বাচনে ৩০টি কেন্দ্রের অভিযোগ তদন্ত শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
বিসিসি নির্বাচনে ৩০টি কেন্দ্রের অভিযোগ তদন্ত শুরু বরিশালে ইসির তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে/ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকা ১টি কেন্দ্র এবং ফলাফল স্থগিত থাকা ১৫টি কেন্দ্রসহ মোট ৩০টি কেন্দ্রের অভিযোগ তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

শনিবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে নগরের কাশিপুরস্থ বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নি. ব্য-২) খোন্দকার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব  ফরহাদ হোসেন, ঢাকার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) সহিদ আব্দুস ছালাম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন-২) শাহ আলম।



শনিবার থেকে শুরু হওয়া তদন্ত কমিটির মাঠ পর্যায়ে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নি. ব্য-২) খোন্দকার মিজানুর রহমান।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, ৩০ জুলাই অন্য দু’টি সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বরিশাল সিটি করপোরেশনেরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন এখানে কিছু অভিযোগ পেয়েছেন। একটি কেন্দ্র প্রিজাইডিং অফিসার বন্ধ ঘোষণা করেছেন এবং ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচন কমিশন স্থগিত রেখেছে। এ কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনের দিনে কি ঘটেছে, অর্থাৎ নির্বাচনের দিনে আমরা যে সমস্ত অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি বা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়েছে তার তদন্ত করতে এসেছি।  

প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আরো ১৪টি কেন্দ্র তদন্তের আওতায় রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক কেন্দ্র বন্ধ ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ফলাফল স্থগিত থাকা ১৬টিসহ মোট ৩০টি কেন্দ্রের বিষয়ে ৪ দিন ব্যাপী আমরা তদন্ত করতে এসেছি। যেখানে দেখা হচ্ছে আসলেই নির্বাচনের দিন অনিয়ম হয়েছিলো কি না এবং অনিয়ম হলে দ্বায়-দায়িত্ব কার ছিলো। যার জন্য আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি এবং সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্ট, মোবাইল স্টাইকিং ফোর্সে যারা ছিলো তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি ও তাদের বক্তব্য-মতামত নিচ্ছি। এর বাইরে প্রার্থীরাও তাদের অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন।

তিনি বলেন, এখান থেকে আমরা যে ঘটনা উদঘাটন বা জানতে পারবো তা নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবো। এরপরপরই নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় নির্বাচন হবে না ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০ কেন্দ্রের তদন্ত করবে তদন্ত কমিটি। যারমধ্যে ৪ নম্বর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখে প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ৫৬, ৫৮, ৬৭, ৬৮, ৭৬, ৮২,৮৩, ৮৪, ৮৫, ৮৭, ৯৪, ৯৯, ১০০, ১০২ ও ১০৭ নম্বর কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখেছে। এর বাইরে প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২১, ৪৬, ৪৮, ৬৯, ৮৯, ৯৬, ৯৭, ১০১, ১০৪, ১০৯, ১১৪, ১১৭, ১২২ ও ১২৩ নম্বর কেন্দ্রের বিষয়ে কাজ করবেন তদন্ত কমিটি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।