ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম রাখার পক্ষে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম রাখার পক্ষে ইসি সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যুক্ত করার পক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
 
ইসি’র এই সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এরপর আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সংসদে পাস করলে আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
 
এদিকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দশম জাতীয় সংসদের বিদায়ী অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। এই অধিবেশনেই আরপিও সংশোধন বিষয় সম্বলিত বিধান পাস হতে পারে।

নূরুল হুদা বলেন, আরপিও সংশোধন নিয়ে সভা শেষ করেছি। আমরা সভায় আরপিও-১৯৭২ এর উপর কিছুটা সংশোধনীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমাদের সংশোধনীমূলক সিদ্ধান্তগুলো অল্প দিনের মধ্যেই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আইন মন্ত্রণালয় যদি আমাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত থাকেন তাহলে সেটা সংসদে গিয়ে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের কাছে আসবে।
 
তিনি বলেন, আমরা সংসদ নির্বাচনে ইভিএম প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে, ঠিক তেমনি সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার ক্ষেত্র তৈরি করেছি। তবে আগামী নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার হবে এমন সিদ্ধান্ত আমরা দিতে পারি না। আইন যেভাবে বলবে সেভাবেই হবে। যেহেতু সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আইন নেই, তাই যদি ইভিএম ব্যবহারের প্রশ্ন আসে তথন তো আইনে না থাকায় ব্যবহার করতে পারবো না। তাই আইন সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আমরা ইভিএম নিয়ে একটি প্রদর্শনমূলক ব্যবস্থা রাখব, যেখানে সব স্টেক হোল্ডারদের ডাকা হবে। তাদের দেখানো হবে ইভিএম ব্যবহারের সুবিধা এবং কিভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
 
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহারে ভালো ফল পেয়েছি। সে কারণেই জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহারের প্রেক্ষাপট তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছি। আইনগতভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
 
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দ্বিমত প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, একজন কমিশনার দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন। এখানে সম্পুর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য কমিশনারদের বলেছি, ইভিএম নিয়ে আলোচনা হবে আপনাদের মত আছে কি না। তারা বলেছেন না, এটা ভালো সিদ্ধান্ত, আমরা আলোচনা করতে চাই। তাই অন্যরা সম্মত ছিলেন বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যরা দ্বিমত করলে হতো না।  

বৈঠকে আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হওয়ারও কোনো পরিবেশ দেখছেন না তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮/আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা
এসএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।