ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

খুলনায় ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, ৪৭ জন বৈধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
খুলনায় ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, ৪৭ জন বৈধ বাংলানিউজ গ্রাফিকস

খুলনা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর ফলে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসন থেকে প্রার্থী হওয়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণ খেলাপির অভিযোগে রিটার্নিং অফিসার তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।

একই সঙ্গে প্রস্তাবকের ভোটার অন্য আসনের হওয়ায় খুলনা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এরশাদুজ্জামান ডলারের মনোনয়নপত্রও বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।

এছাড়া খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং সুব্রত কুমার বাইনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরের সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিনদিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। আপিল কর্তৃপক্ষই তাদের প্রার্থীতার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন।

এর আগে রোববার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে খুলনার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নেতৃত্বে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিলের পর শেষ পর্যন্ত খুলনার ৬টি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে।

রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরের সূত্র জানায়, খুলনা-১ আসন থেকে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপি’র আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশ’র মাওলানা আবু সাইদ, ওয়াকার্স পার্টির গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডলসহ সবার মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

খুলনা-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৯ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, বিএনপি’র নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশ’র অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এস এম ইসলাম আলী, গণফ্রন্ট’র মনিরা বেগম, জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু ও কমিউনিস্ট পার্টি’র এইচ এম শাহাদত এবং বি এনএফ’র এস এম সোহাগ মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনএফ’র এস এম সোহাগের মনোনয়পত্র কিছু সময় স্থগিত রেখে পরে আবার বৈধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রস্তাবকের ভোটার অন্য আসনের হওয়ায় জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী এরশাদুজ্জামান ডলারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।

খুলনা-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৭ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্নুজান সুফিয়ান, বিএনপি’র এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও রকিবুল ইসলাম বকুল, ইসলামী আনন্দোলন বাংলাদেশ’র অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মিল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আ ফ ম মহসিন, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জনাদন দত্তের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

খুলনা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৯ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল, শরীফ শাহ কামাল তাজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেএম আলী ইমদাদ, বিএনএফের মেজর (অব.) হাবিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহমেদ শেখ, খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয় পার্টির হাদিউজ্জামান ও জাকের পার্টির আনসার আলী।

খুলনা-৫ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৭ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বিএনপির ডা. গাজী আব্দুল হক, ড. মামুন রহমান, জামায়াতের অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার, ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান ও কমিউনিস্ট পার্টির চিত্ত রঞ্জন গোলদার।

খুলনা-৬ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ১২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের আখতারুজ্জামান বাবু, বিএনপির এস এম শফিকুল আলম মনা, জামায়াতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জেএসডির আইয়ুব আলী কাজী, ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ, জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন, কমিউনিস্ট পার্টির সুবাস চন্দ্র সাহা, জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামাল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সব্রত কুমার বাইন ও মো. আব্দুল কাদের। তবে ঋণ খেলাপির অভিযোগে বিএনপির এস এম শফিকুল আলম মনা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সব্রত কুমার বাইন ও মো. আব্দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।