ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

দক্ষিণ সিটির ১৮ ওয়ার্ডে নিরুত্তাপ ভোট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
দক্ষিণ সিটির ১৮ ওয়ার্ডে নিরুত্তাপ ভোট ডেমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে চলছে নিরুত্তাপ ভোটগ্রহণ। বৃষ্টিভেজা সকালে ভোটার উপস্থিতি খুব কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে কিছুটা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন কেন্দ্র সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, সকালে ভোটার একেবারে কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে বিজিবি সদস্যদের টহল দেখা গেছে। আর কেন্দ্রের ভেতরে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রে আসা ভোটাররা। তারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৯ নং ওয়ার্ডের ডেমরা এলাকার বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় ও বাওয়ানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। এ সময় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা যায়।

তবে কেন্দ্রের বাইরে কোনো কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা জড়ো হয়ে মাঝে মাঝে স্লোগান দিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।  

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইমামুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম ছিলো। কিন্তু এখন আমরা সাড়া পাচ্ছি।  ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে।  

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করতে পারছি। আমাদের কেন্দ্রে কোনো ঝামেলা নেই। এই ওয়ার্ডে  ৩ পুরুষ ও ৪ মহিলা ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, প্রতি সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৩ জন করে ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে মোট ২৭টি মোবাইল টিম নিয়োজিত আছে। এছাড়া তাদের ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। র‌্যাব নিয়োজিত রয়েছে ২৭ টিমে, মোতায়েন করা হয়েছে ২৫ প্লাটুন বিজিবি।

নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন ও অনিয়মের শাস্তি দিতে ৫৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।

ডিএসসিসি’র ৫৮ থেকে ৭৫ নম্বর পর্যন্ত মোট ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
টিএম/ইএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।