নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪৮ উপজেলায় নিয়োগ করা হয়েছে র্যাব, বিজিবির অতিরিক্ত ফোর্স। কড়া নজরদারির জন্য এসব উপজেলায় ১১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ধাপে ছয়টি উপজেলায় সম্পূর্ণভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। যেসব উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে সেগুলো হলো— কক্সবাজার সদর, পটুয়াখালী সদর, ময়মনসিংহ সদর, বাগেরহাট সদর, মুন্সিগঞ্জ সদর ও ফেনী সদর।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এগুলোর মধ্যে খুলনার ডুমুরিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার বড়ুরার নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এই ধাপে যুক্ত হয়েছে তৃতীয় ধাপের পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও নোয়াখালীর কবিরহাটের নির্বাচন। এছাড়া ১৫ উপজেলার সকল পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১০৭টি উপজেলায়।
এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৯ হাজার ৭৪০টি ভোটকেন্দ্রে। ২২ জেলার মোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে সকল ধরনের যন্ত্র চালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত। ১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে ইসি।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও শুক্রবার থেকেই মাঠে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবিও আনাসারসহ সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, সমস্যা হতে পারে এমন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বিবেচনায় ৪৮ উপজেলায় র্যাব ও বিজিবির অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক থেকে তারা সকল পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছে।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে সম্পন্ন করছে ইসি। ১৮ জুন পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
ইইউডি/এমজেএফ