সকাল ৯টার দিকে ফেনী শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেখানে এক ঘণ্টায় একটি ভোট কাস্ট হয়েছে।
এ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হলেও ভোটারদের মধ্যে কোনো ধরনের আগ্রহ দেখা যায়নি।
ফেনী জেলায় ছয় উপজেলার মধ্যে চারটিতে ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী ও ফুলগাজীতে নির্বাচন হচ্ছে।
বাকী দুই উপজেলা পরশুরামে সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে শুধু মাত্র ফেনী সদরে ইভিএমে ভোট হবে।
সরেজমিনে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব বিরোধীদল উপজেলা নির্বাচন বয়কট করায় এবং জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পেরে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমজনতার মধ্যে তেমন কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা নেই। তবে অনেক ভোটার বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা ভোট দিতে যাবেন।
এদিকে মাঠে আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিন স্তরের নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসার সদস্যদের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। মাঠে রয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন পাটওয়ারি বাংলানিউজকে জানান, সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। ইভিএমে ভোট প্রয়োগে ভোটারদের অভিজ্ঞতার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আশা করা যাচ্ছে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি