নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখার উপ-সচিব মো. এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, দুই সিটি নির্বাচনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি সিটিতে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় ১০ কোটি টাকা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১০ কোটি, মোট ৪০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতা, নির্বাচনী উপকরণসহ দ্রব্যমূল্য বাড়ায় নির্বাচন পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে। যে কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয়ের সমপরিমাণ হয়েছে পরিচালনা ব্যয়। আগে মোট ব্যয়ের তিনের দুই ভাগ ব্যয় হতো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পেছনে।
এনামুল হক বলেন, এই ব্যয়ের বাইরেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কেনা বাবদ ব্যয় রয়েছে। কিন্তু সেটা এর বাইরে। আর ইভিএম তো ব্যালটের মতো একবার ব্যবহার হবে না। কাজেই এই হিসাবের সঙ্গে ইভিএমের ব্যয়টা ধরলে হবে না। তবে ইভিএম পরিচালনা এই ৪০ কোটি টাকার মধ্যেই রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল একীভূত ঢাকা সিটি নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ কোটি টাকা। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল বিভক্ত ঢাকার দুই সিটির প্রথম নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা। এদিক থেকে এবারের মোট ব্যয় ২০১৫ সালের মতোই থাকছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়রপদে ১৩ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ প্রায় সাড়ে ৭শ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
ইইউডি/এএ