নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের ইসি সচিব মো. আলমগীর এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধা-৩, ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষিত হওয়ায় ভোটের আলোচনা হয়েছে।
গাইবাবান্ধা-৩ আসনটি গত ২৭ ডিসেম্বর, ঢাকা-১০ আসনটি ২৯ ডিসেম্বর, ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪, ১৮ জানুয়ারি বগুড়া-১ আসন আর যশোর-৬ আসনটি ২১ জানুয়ারি শূন্য হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, আসন শূন্য হওয়ারর পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সে অনুযায়ী, গাইবান্ধা-৩ আসনে আগামী ২৫ মার্চ, ঢাকা-১০ আসনে ২৭ মার্চ ও বাগেরহাট-৪ আসনে ৮ এপ্রিল, ১৬ এপ্রিল আর যশোর-৬ আসনে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
ইসি সচিব বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ যেটা আছে সেটি ইংরেজিতে। এটিকে বাংলায় করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্ব একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি এটা দেখে-শুনে চূড়ান্ত করেছে। কমিশন আজ (মঙ্গলবার) তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। আমরা ইসি সচিবালয় থেকে এটিকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবো বাংলায় আইন করার জন্য। ’
ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রতি বছরের জানুয়ারির ৩১ তারিখ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এবার কাজের চাপ বেশি থাকায় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট থাকায় ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। এজন্য একটি আইন আমরা প্রস্তাব করেছি, যেটি এখন সংসদে আছে। বিষয়টি অগ্রগতি কতটুকু তারা তা জানতে চেয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে এটি বিল আকারে সংসদে উপস্থাপিত হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
ইইউডি/এমএ