শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের পর আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেন গ্রুপ ও বিদ্রোহী প্রার্থী রতন গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার বাদ জুমা কামরাঙ্গীরচর বড় গ্রামের ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলরপ্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন এবং বিদ্রোহীপ্রার্থী সাইদুর রহমান রতনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্রোহীপ্রার্থী সাইদুর রহমান রতন জানান, আমি দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে ৫৬নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আমার সমর্থক ও কর্মীরা পোস্টার লাগাতে গেলে সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের লোকজন তাদের মারধর করে এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে আমি বড় গ্রাম থেকে প্রচারণা শুরু করলে আমার সমর্থক ও কর্মীদের ওপর হামলা চালায় হোসেন গ্রুপের কর্মীরা। হামলাকারীরা পেছন দিক দিয়ে ইট ছুড়ে এবং দৌড়ে এসে স্ট্যাম্প দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সেখানে আমার নির্বাচনী প্রচারণার একটি অফিসে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
এ ঘটনার রতনের সমর্থক ও কর্মীদের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাউন্সিলরপ্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
পিএম/ওএইচ/