ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর একটি কেন্দ্রে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা বলেন।
গত রোববার (২৭ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার গোপীবাগে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে অন্তত ১০ জন আহত হন।
বিভিন্ন জায়গায় মারামারি হচ্ছে বিষয়টি সামনে আনলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মারামারি বলতে একাধিক জায়গায়। বিভিন্ন জায়গায় না, নাম্বার ওয়ান। নাম্বার টু মারামারি হওয়া খারাপ। এটাতো আমরা, যারা মারামারি করে মানে দুই দলেরই, এটাতো ক্রিমিনাল অফেন্সের ধারায় তারা (ভুক্তভোগীরা) কেস করবে। কেস করলে তারা (পুলিশ) ব্যবস্থা নেবে। এটাতো... আমাদের তাৎক্ষণিক কিছু করার নেই। ’
গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ একজন সদস্য মোবাইলে নিজেদের পার্টির অবস্থান জানাচ্ছিলেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ কি কোনো দলকে আমাদের পার্টি বলতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, পুলিশের সঙ্গে যে লোকজন থাকে, তাকে পার্টি বলে। পুলিশের পার্টি মানে পুলিশের সাথীরা। তিনি (ওই পুলিশ সদস্য) পুলিশের পার্টি বুঝিয়েছেন, দলের পার্টির না।
আস্থার সঙ্কটের মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিক কিনা জানতে চাইলে কেএম নূরুল হুদা বলেন, অবশ্যই যৌক্তিকতা আছে। ইভিএম’র মাধ্যমেই ভোটার নিজের ভোট দিতে পারে। আগে জাল ভোটের সম্ভাবনা ছিল। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা ছিল। ইভিএমে সেটা নেই।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই আমরা এতো পরিশ্রম করছি। সেটা নিশ্চিত হবে আশা করি।
প্রদর্শনীতে অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলছে না ইভিএম মেশিনে-এবিষয়ে সিইসি বলেন, এটা সবার না। দু’একজনের এমন হচ্ছে। হয়তো তাদের আঙুলের ছাপ বিলীন হয়েছে গেছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
ইইউডি/জেডএস