বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় মক ভোটের দৃশ্য। এদিন দুপুরের পর এ কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন ভোটার মক ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মক ভোট দিতে এসে এ এলাকার বাসিন্দা সোহেল আহমেদ একটি মেশিনে হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেশিনটির স্ক্রিন এবং কক্ষের দেয়ালে ভেসে উঠলো ভোটারের ছবি, ভোটার নম্বর ইত্যাদি। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং কক্ষে উপস্থিত সবাই দেখলেন ভোটারের বিস্তারিত। এরপর ভোটার চলে গেলেন ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে। সেখানে রয়েছে আরেকটি মেশিনের প্যানেল। সেই প্যানেলে রয়েছে তিনটি ভাগ। এক ভাগে মেয়র প্রার্থী, অন্য দুই ভাগে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম-প্রতীকের তালিকা। প্যানেলে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে গেলেন ভোটার।
কথা হলে সোহেল আহমেদ বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া অনেক সহজ। প্রথমে ভেবেছিলাম মেশিনে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি হয়তো জটিল হবে, কিন্তু তা নয়। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের লোকজন প্রশিক্ষণ দেওয়ায় ভোট দেওয়ায় আর কোনো অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছি। বরং এ পদ্ধতিতে ভোট দিতে সময় কম লাগে।
আরেক ভোটার রউফ আহমেদ জানান, তার আঙুলের ছাপ না মেলার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর মিলিয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। আঙুলের ছাপ জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে এ কেন্দ্রের পোলিং অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, বয়স্ক মানুষগুলোর অনেক সময় আঙুলে সমস্যা দেখা দেয়, তাই এক্ষেত্রে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে আঙুলের ছাপ ছাড়াও ভোটার ক্রমিক নম্বর দিয়ে একজন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন।
ইভিএম প্রসঙ্গে কেন্দ্রের দায়িত্বরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আফসানা শিমু বাংলানিউজকে বলেন, মেশিনের মাধ্যমে ভোট দেওয়াটা সবার কাছে নতুন। অনেকের কাছে বিষয়টি ভীতিকরও। এখন ভোট দেওয়ার পর অবশ্য তাদের সেই ভয় কেটে গেছে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ইভিএম মেশিনে কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। ইভিএমে জাল ভোট বা অতিরিক্ত ভোট দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। ন্যাশনাল আইডি কার্ড, আঙুলের ছাপ এবং ভোটার ক্রমিক নম্বর দিয়ে একজন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। আর এবার যে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো আগের তুলনায় অনেক আধুনিক।
এ কেন্দ্রেই কথা হয় এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং কলাবাগান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আশা করছি যে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। এ এলাকার জনগণও নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজে রয়েছে। সাধারণ জনগণ এসে মক ভোট দিয়ে শিখে নিচ্ছেন নির্ভুলভাবে ভোট দেওয়ার বিষয়টি। কথা বলে জেনেছি, তারা সবাই বেশ আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এইচএমএস/আরবি/