ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

হয়ে গেলো ইভিএম’র মক টেস্ট 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
হয়ে গেলো ইভিএম’র মক টেস্ট 

ঢাকা: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথমবারের মতো দুই সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেওয়া হবে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার ব্যাপারটি সহজ করতেই ভোটারদের ‘মক টেস্ট’র আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুই সিটির ভোট কেন্দ্রগুলোতে এ মক টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ ভোটগ্রহণ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 
 
এদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুর পল্লবীতে প্যারাডাইজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে স্থাপিত (কেন্দ্র নম্বর-৫৮) ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট দিতে উপস্থিত হয়েছেন কয়েক ভোটার।  

সামসুন্নাহার নামে এক নারী ভোটার বলেন, শুনলাম এবার ইভিএমে ভোট দিতে হবে। এখানে নাকি ভোটের প্র্যাকটিস করাচ্ছে। তাই ভাবলাম আগে থেকেই একটু শিখে নেই।
 
ইভিএমের অভিজ্ঞতায় ভোটাররা খুশি বলে দাবি করছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার নাজমুল বারী বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর থেকেই অনেকে আসছেন ইভিএমে ভোট দেওয়া দেখতে। নিজেরা স্বতঃফুর্তভাবে এসে ভোট দিচ্ছেন। পরিচিত অনেকেই ফোন দিয়ে বলছেন, অফিস বা কাজের জন্য আসতে পারছেন না, কিন্তু তারাও আগ্রহী। আমি তাদের বলেছি, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাদের জন্য এখানে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
 
ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, আমার কেন্দ্রে এক হাজার ৯১৩ জন ভোটার আছেন। সবাই পুরুষ। ভোট গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। আশা করছি ভালোভাবেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে।
 
ইভিএমে ভোট প্রদানের বিস্তারিত তুলে ধরে আরেক কর্মকর্তা জানান, প্রথমে মূল মেশিনে একজন ভোটার নিজের আঙুলের ছাপ দেবেন। এতে মেশিনের পর্দায় ভোটারের যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। কোন কারণে আঙুলের ছাপ কাজ না করলে ভোটার আইডিকার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য মেশিনে ইনপুট দিতে হবে। স্মার্ট এনআইডি কার্ডের ক্ষেত্রেও তা মেশিনে প্রবেশ করাতেই ভোটারের তথ্য ভেসে উঠবে। মূল মেশিনের ডিসপ্লে পর্দার আরেকটি আউটপুট বিভিন্ন প্রার্থীর পুলিং এজেন্টদের দিকে দেওয়া থাকবে। এতে পুলিং এজেন্টরাও ভোটারের তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
 
মূল মেশিনের কাজ শেষ হলে একজন কর্মকর্তা ভোটারের আঙুলে কালি লাগিয়ে দেবেন। পরে ভোটার গোপন কক্ষে যাবেন। সেখানে ৩টি ভোট দেওয়ার মেশিন থাকবে। প্রথম মেশিনে থাকবে মেয়র প্রার্থীদের তালিকা, দ্বিতীয়টিতে সাধারণ কাউন্সিলরদের তালিকা ও শেষটিতে থাকবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা।  

প্রতিটি মেশিনের ডান দিকে সব প্রার্থীদের নাম ও মার্কার ছবি থাকবে। তার পাশে থাকবে একটি ‘সাদা’ রঙের বাটন। ভোটার যেই প্রার্থীকে ভোট দিতে চান তার নামের পাশে থাকা ‘সবুজ’ রঙের ‘কনফার্ম’ বাটনে প্রেস আগেই প্রার্থী বাছাইয়ের ব্যাপারে ভোটারের মত পরিবর্তন হলে ‘ক্যান্সেল’ বাটনে চাপ দিতে হবে। এতে করে ভোটার পুনরায় প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি থাকা ৩টি মেশিনেই ভোট দিতে হবে একজন ভোটারকে। অন্যথায় তার ভোট গ্রহণযোগ্য হবে না।
 

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।