এতে সাতটি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১১টা নাগাদ ভোট পড়েছে ১শ টির মতো।
প্রতিটি কক্ষে ঢুকে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট ব্যাতীত মেয়র পদে অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট নেই।
ভোটাররা অভিযোগ করেন, তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল নৌকায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
কেবল অভিযোগ নয়, খোদ এজেন্টকেই বলতে শোনা গেলো-বিএনপির লোকের দরকার কি? অন্যজন বললেন, ‘হ, আইলেই বের করে দেবো। ’
মোশারফ হোসেন নামের নৌকা প্রতীকের এজেন্টকে এমন কেন বলছেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন- ‘না, না ভাই, অন্য কেউ তো আসেন নাই। ’
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা বলছেন, নৌকা ব্যতিত অন্য প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টরা আসেননি। তাদের ফরম, কার্ডও পূরণ করা হয়নি।
সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. খায়রুল কবীর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট রিপোর্ট করেননি। তাই কার্ডগুলো ফাঁকা পড়ে আছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাহিনীর সদস্য বলেন, ‘ভাই, যারাই আসছে, বের করে দেওয়া হয়েছে। ’
পোলিং অফিসার মো. কবীর জানান, ভোটিং সিস্টেম খুব ভালো। ভোট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। যার ভোট সেই দিচ্ছে।
এদিকে কেন্দ্রের বাইরে বিরাট লাইন হলেও ভেতরে লোক কম দেখা গেছে।
কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করে দেখা গেছে, যারা প্রবেশ করছেন, তারা নিজের ভোট নিজেই দিতে পারছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে-বেশিরই ভাগই বুঝতে পারছেন না ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি। এক্ষেত্রে তাদের ডেমো মেশিনে পোলিং কর্মকর্তারা শিখিয়ে দিচ্ছেন।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এজেন্টদের কাউকে বের করে দেওয়া হয়েছে কেউ কোনো অভিযোগ আমার কাছে করেনি। অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা তো ভেতরে আসেনইনি। ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, অনেকের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটারের ব্যালটের ওপেন করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি