মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ বালক শাখায় ৪১২ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৮৯১ জন অথচ প্রথম ৩ ঘণ্টায় এখানে ভোট পড়েছে মাত্র ৫০টি। একই পরিস্থিতি আশপাশের কেন্দ্রগুলোতেও।
ভোট এতো কম পড়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ৪১১ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. হাসান শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ভোট পড়ার হার কম। নারীরা গৃহস্থালির কাজ সেরে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, তারা এখন রান্নাবান্না করছেন। সাধারণত সকাল থেকে মা-বোনদের কাজ থাকে।
মিরপুর মনিপুর বালিকা শাখায় ৪৩৬ নম্বর ভোটকেন্দ্রে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৪৫ জন। অথচ সকাল ১১টা পর্যন্ত এখানে ভোট পড়েছে মাত্র ১৫০টি।
এখানে ভোট কম পড়ার ব্যাপারেও নারীদের গৃহস্থালীর কাজকর্মের দোহাই দেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কালাম মোহাম্মদ মনজুরুল চৌধুরী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রান্নার কাজ শেষে মহিলারা আসবেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার হার বাড়বে।
তবে নারীদের চেয়ে কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের ভোট দেওয়ার হার তুলনামূলক বেশি। পুরুষদের ৪৩৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৪৫০ জন। এখানে প্রথম ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪০১টি।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সাফওয়ান হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ভোট ভালোই হচ্ছে। ৪ ঘণ্টায় ৪০১ ভোট পড়েছে। বেলা বাড়লে ভোট আরও বাড়বে। ঝামেলা ছাড়াই সবাই শান্ত ভাবে ভোট দিচ্ছে। ভোট দিতে সময়ও লাগছে কম। মাত্র ১ মিনিটেই মেয়র কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরকে ভোট দিতে পারছেন ভোটাররা। তবে আঙুলের ছাপ ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তরুণ ভোটাররা কম সময়েই ভোট দিতে পারিছেন। বয়ষ্কদের আঙুলের ছাপে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা হলে আমরা সাহায্য করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এমআইএস/এইচজে