মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন পুরোপুরি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সম্পন্ন হবে।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনে প্রার্থী কোনো এজেন্ট নিয়োগ না করলে নিজেই এজেন্ট হিসেবে গণ্য হবেন। প্রার্থী তার পোলিং এজেন্ট বাতিল করে পুনরায় অন্য কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারবেন। এজেন্ট মারা গেলে পরবর্তীতে অন্য কাউকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা যাবে। এসব ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
"পোলিং এজেন্ট ছবিসহ ভোটার তালিকা নিয়ে ভোটকক্ষে অবস্থান করবেন। ভোটারদের সহায়তা ও শনাক্ত করতে পারবেন। তবে গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না। জরুরি বা প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া বাইরেও বেরোতে পারবেন না। তিনি বাইরে গেলে এবং পুনরায় প্রবেশ করলে তা একটি নির্দিষ্ট ফরমে লিপিবদ্ধ করতে হবে। খাবারের অজুহাতে বাইরে যেতে পারবেন না। প্রয়োজনে খাবার নিয়ে আসতে হবে। আর ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে থেকে একেবারেই বাইরে যেতে পারবেন না। মোবাইল ফোন ব্যবহার ও ভোটকক্ষের ভেতর অযথা ঘোরাঘুরিও তার জন্য নিষেধ। '
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করে ইসি। সেই অনুসারে ওই নির্বাচনের ম্যাদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, এ নির্বাচনে মেয়রপদে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রার্থী আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
ইইউডি/এইচজে