বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ চার বছরেও হয়নি নির্বাচন।
এদিকে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল ৪ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অংশ সীমানা বেনাপোল পৌরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জানা যায়, ২০১২ সালে ২২ এপ্রিল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের উপস্থিতিতে এক সভা হয়। সেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন সচিবের অনুমতি ও স্বাক্ষরে বেনাপোল পৌরসভার আয়াতন ২৪ বর্গমাইল করার নির্দেশ দেন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল পৌরসভার আয়তন বাড়ানো হয়। তবে পৌরসভার নতুন সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া নাগরিকেরা ইউনিয়ন পরিষদের সীমানার অন্তর্ভুক্ত থাকতে চাই। যে কারণে তারা আদালতে পৌরসভার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যে মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
বেনাপোল ৪ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গণতান্ত্রিক দেশের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হওয়া দরকার। এরই ধারাবাহিকতায় যেমন সংসদ নির্বাচন হয় তেমনি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়া দরকার। তাহলে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এজন্য অতিদ্রুত বেনাপোল পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
পৌরসভার বিরুদ্ধে মামলাকারিরা জানান, পৌরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে বিভিন্ন রকমের পৌর ট্যাক্স দিতে হয়। এ কারণে আমরা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হতে চাই না। এজন্য আমরা পৌরসভার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এতে করে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারি।
বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের কিছু অংশ সীমানা পৌরসভার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। যে কারণে আদালত পৌরসভার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কিছু নাগরিক। এ কারণে পৌর নির্বাচন থেমে আছে। তবে বেনাপোল পৌরসভার ও বেনাপোল ৪ নম্বর ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়াটা খুব জরুরি বলে তিনি মনে করেন। তাই আমরা আশাবাদি সরকার অতি দ্রুত আইনি জটিলতা সমাধান করে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২০
এনটি