টাঙ্গাইল: ইমরান হোসেন (১৫)। সে ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের অলোয়া গ্রামে।
এদিকে সুফিয়া বেগম নামে এক নারী জানান, তিনি শুধু ভোট দিয়েছেন মেম্বার প্রার্থীদের। কারণ তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোনো ব্যালট পেপার দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে জানানো হয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে। একই অভিযোগ করেন বাছাতন নামের আরেক নারী ভোটার।
অপরদিকে, গোপন কক্ষে এক সঙ্গে ২-৩ জনকেও ভোট দিতে দেখা যায়। সোমবার ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্রই দেখা যায়।
এ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩২ জন। সাতটি বুথে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। জয়ের ব্যাপারে তিনজন প্রার্থীই আশাবাদী।
গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে অলোয়া ইউনিয়নের আকালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন।
ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম রফিক পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম (সরকার শরীফ) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯ ভোট ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দিন আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৭ ভোট পেয়েছেন। নয়টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এক হাজার ১৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো. শরিফুল ইসলাম (সরকার শরিফ)।
এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভূঞাপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জাল ভোট দিতে আসা একজনকে আটক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর ভোটারদের ব্যালট না দেয়ার বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
এনটি