ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন নিয়ে কোনো আইনি জটিলতা নেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দু’এক দিনের মধ্যেই পাঠানো হবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তারা দু’এক দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে জানাবেন। নির্বাচনে কোনো আইনি জটিলতা নেই।
তিনি বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল একটি কমিশন সভা রয়েছে। সেখানে কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। বৈঠকে কুসিক ছাড়াও বেশ কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের এটিই প্রথম ‘কমিশন সভা’।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছরের ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১৬ মের মধ্যে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এ হিসেবে গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।
২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটি পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশ ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২২
ইইউডি/আরবি