ঢাকা: আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ঝূঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৩১মে) রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
এতে বলা হয়েছে- ভোটদানের জন্য ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সে পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটসমূহ কর্তৃক নিবিড় টহল দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং কোনো ধরনের সহিংসতা বা নীতি গর্হিত কার্যকলাপ যাতে সংঘটিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কর্তৃক বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব হতে যাতে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা অস্ত্রসহ চলাচল না করেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন।
কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন পাঁচ জন প্রার্থী।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী থাকছেন ভোটের মাঠে। সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে। আগামী ১৫ জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে প্রার্থীরা প্রচার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন, যা চলবে আগামী ১৩ জুন মধ্যরাত ১২ টা পর্যন্ত।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৬ মে। কিন্তু বিগত কমিশন বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় আর তফসিল দেয়নি। ফলে অতি অল্প সময়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই সিটি পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে। নির্বাচনের পর নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি করপোরেশন পরিচালনা করবেন।
২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কুসিকের প্রথম নির্বাচনে ২০১২ সালে তিনিও জয়লাভ করেছিলেন। প্রথমবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সাক্কু স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরেরবার বিএনপির টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও জয়লাভ করেন। এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করায় সাক্কু হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। দু’টি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
ইইউডি/এএটি