ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক নির্বাচনের ট্রাইব্যুনাল গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২২
কুসিক নির্বাচনের ট্রাইব্যুনাল গঠন

ঢাকা: আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একটি ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও একটি ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।

ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলী জানিয়েছেন, কুমিল্লা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও কুমিল্লা প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।

আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। এক্ষেত্রেও ট্রাইব্যুনালের রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। আপিল দায়েরের ১৮০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবেন নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।

আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন পাঁচ জন প্রার্থী।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। ভোটগ্রহণ করার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৬ মে। কিন্তু বিগত কমিশন বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় আর তফসিল দেয়নি। ফলে অতি অল্প সময়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই সিটি পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে। নির্বাচনের পর নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি করপোরেশন পরিচালনা করবেন।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কুসিকের প্রথম নির্বাচনে ২০১২ সালে তিনিও জয়লাভ করেছিলেন। প্রথমবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সাক্কু স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরের বার বিএনপির টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও জয়লাভ করেন। এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করায় সাক্কু হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।