সিলেট: প্রবাসী অধ্যষিত অঞ্চল সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর এবং গোলাপগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ দুই এলাকার মধ্যে বিয়ানীবাজার পৌর এলাকায় ১০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এছাড়া গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০২টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাচনে সহকারী রিটানিং অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে সকালে ব্যালটে পেপার পৌঁছানো হয়েছে। ফলে ভোটগ্রহণ ৯টা থেকে শুরু করার সময় নির্ধারিত ছিল।
এদিকে বৃষ্টিস্নাত সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে।
সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার ১০ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। আর গোলাপগঞ্জে ১০২ কেন্দ্রের মধ্যে ৯৩টিই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়া জকিগঞ্জের কাজলসার ও সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও একই দিনে ১০টি করে ২০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব এলাকায় অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরাপত্তায় এক হাজার ২৫৫ জন পুলিশ এবং ২ হাজার ৪২১ জন আনসার সদস্য কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি অ্যান্ড মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভোট কেন্দ্রগুলোতে ৫ জন করে পুলিশ স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে আছেন। সড়কের মোড়ে মোড়ে ১৮টি তল্লাশি চৌকি (চেকপোস্ট) বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ৪৭টি মোবাইল টিম রয়েছে। প্রতি ৩টি কেন্দ্রে ১টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। রয়েছে ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ডিবির ৪টি টিম।
বিয়ানীবাজার: এ পৌরসভা নির্বাচনী কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, পৌর এলাকায় মোট ভোটার ২৭ হাজার ৭৯০ জন ১০টি কেন্দ্রে স্থাপিত ৮০টি বুথে ভোট দেবেন। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৮৭০ জন এবং নারী ভোটার ১৩ হাজার ৯২০ জন। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম দ্বারা ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। কক্ষ প্রতি একটি করে ইভিএম মেশিন রয়েছে। তবে ৮০টির স্থলে ১২০টি ইভিএম মেশিন সরবরাহ রাখা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে বাড়তি মেশিন দেওয়া হয়েছে, যাতে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়। এছাড়া কারিগরি ত্রুটি সারাতে ৩টি টিম নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ও বাইরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এ পৌরসভায় ১০ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-নৌকা প্রতীকে বর্তমান চেয়র আব্দুস শুকুর, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আহবাবুর রহমান (কম্পিউটার), দলের আরেক বিদ্রোহী ফারুকুল হক (চামচ), আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মোহাম্মদ অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ) মোহাম্মদ আব্দুস সবুর (মোবাইল ফোন), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. আব্দুল কুদ্দুছ (হেলমেট), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ), জাতীয় পার্টির মো. সুনাম উদ্দিন (লাঙ্গল), এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ আবুল কাশেম (কাস্তে) মার্কা নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১০ নারী এবং সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গোলাপগঞ্জ: উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ প্রার্থী। তাদের বিপরীতে ২ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জন ভোটার ১০২টি কেন্দ্রে ৬২৫টি কক্ষে ভোট দেবেন। এ উপজেলায় মোট ভোটারের ১ লাখ ২২ হাজার নারী এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৩ জন পুরুষ রয়েছেন।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. শফিক উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা জুন ১৫, ২০২২
এনইউ/এএটি