নোয়াখালী: এজেন্টদের মারধর, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে না দেওয়া, প্রার্থীকে কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধাসহ বেশ কিছু অভিযোগ এনে এবার ভোট বর্জন করেছেন নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র ঢোল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে হাতিয়ার পার্শ্ববর্তী উপজেলা সুবর্ণচর উপজেলার মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ভোটের দিন সকাল থেকে কেন্দ্রে তার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিলেও পরক্ষণেই তাদের বের করে দেয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার ইউনিয়নে ১৬টি কেন্দ্র থাকলেও তাকে কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করতে দেওয়া হয়নি। পথে পথে বাধা দেওয়ায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেননি। পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসব করেছে। ভোটের প্রচারণার শুরু থেকে আজ ভোটের দিন পর্যন্ত ভোটের নামে প্রহসন চালানো হয়েছে। বাহিরে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রেখে কেন্দ্রের ভেতরে নৌকায় ভোট দিতে ভোটারদের বাধ্য করা হয়েছে। আঙুলের চাপ নিয়ে ভোটারদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এ প্রার্থী। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি ভোট বর্জন করেছেন।
ঢোল প্রতীকের এ প্রার্থী সকল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এর আগে, দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে একই ধরনের অভিযোগ এনে হরণী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মুশফিকুর রহমানও ভোট বর্জন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এসআইএস